টুম্পাকে নিয়ে ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার জন‍্য দেওয়াল লিখলো কংগ্ৰেস : বানান ভুলে বিভ্রাট

25th February 2021 11:03 am বাঁকুড়া
টুম্পাকে নিয়ে ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার জন‍্য দেওয়াল লিখলো কংগ্ৰেস : বানান ভুলে বিভ্রাট


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২৮ ফেব্রুয়ারী ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাম-কংগ্রেস। আর সেই ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা প্যারোডি 'টুম্পা সোনা'কে দেওয়াল লিখনেও ব্যবহার করলো কংগ্রেস। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পৌর কংগ্রেসের তরফে শহরের হাজরা পাড়ায় 'উন্নতর ও এক্যবদ্ধ বাংলা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ব্রিগেডে যাওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি 'টুম্পা সোনা তোকে নিয়ে ব্রিগেড যাবো' লেখা হয়েছে। আর 'টুম্পা সোনা...' শব্দবন্ধকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। কটাক্ষ করতে ছাড়ছে শাসক তৃণমূল। যদিও কংগ্রেস এই বিতর্ককে কোন ভাবেই গুরুত্ব দিতে নারাজ।

তৃণমূল নেতা ও বিষ্ণুপুর পৌরসভার 'প্রশাসক' দিব্যেন্দু ব্যানার্জী বলেন, তাদের দল ছাড়া বাকি সব রাজনৈতিক দল 'দিশেহারা'। কংগ্রেস-সিপিআইএমের বলার মতো কিছু নেই। বলার জায়গা 'শূণ্য' বলেই 'এইসব আলফাল কথা' বলে দেওয়াল ভরাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। একই সঙ্গে ঐ দেওয়াল লিখনে 'বানান' নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি পৌর প্রশাসক। তাঁর কথায়, যারা নিজেরাই 'বি-গ্রেড' লিখছে তাদের কাছ থেকে এর বেশী আর কি আশা যায় বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। 

বিজেপি নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবিষয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে সকলেরই বলার অধিকার আছে। ঐ বিষয়ে এর বেশী তার বলার কিছু নেই বলেই তিনি জানান। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক দেবু চ্যাটাজী বলেন, জোটের বিগ্রেড সমাবেশের প্রচারে ঐ গানটি ইতিমধ্যে ভাইরাল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, শিল্প স্থাপন ও কালা কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এই সমাবেশে আমরা প্রিয়জনকে নিয়েই ব্রিগেডে যাবো। সেই কথাই গানে বলা হয়েছে। আর সেই গানের কথাই ঐ দেওয়াল লিখনে ফুটিয়ে তুলেছেন কর্মীরা। এর মধ্যে বিতর্কের কিছু থাকতে পারেনা বলেই তিনি মনে করেন বলে জানান।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।